Articles, other scholars |
যদি হৃদয়কে পরিচ্ছন্ন রাখতে চান, তবে আপনার জিহ্বাকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ঈমানের পুনর্জাগরণ সিরিজে আবারো আবারও স্বাগতম। আমরা কথা বলছিলাম কী করে ঈমান অর্জন করতে হবে এবং কিভাবে তা তৈরী করতে হবে। এ সম্পর্কে আমরা বেশ চমকপ্রদ ধারণা পাই কুর’আন এবং রাসূল (স) এর সুন্নাহতে। আল্লাহ বলেন- هُوَ الَّذِي أَنزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوا إِيمَانًا مَّعَ إِيمَانِهِمْ আল্লাহ বলছেন, তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায়। (সুরা ফাতহ ৪) অর্থাৎ যে ঈমান রয়েছে তা যেন বেড়েই চলে। এখন যদি আপনি আয়াতটার দিকে লক্ষ্য করেন, আলেমরা বলছেন, তা হচ্ছে ঈমান, যা অন্তরকে প্রশান্ত করে। বিশ্বাস অন্তরকে প্রশান্ত করে। তাই, যখন অন্তর এদিক সেদিক চলে যায়, তা অস্থির থাকে, বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়ায়, আল্লাহ ঈমান/বিশ্বাসকে পাঠিয়েছিলেন তাকে শান্ত করার জন্যে। কোন কিছুই অন্তরকে স্থির করতে কিংবা প্রশান্তি দিতে পারে না বিশ্বাস ছাড়া। সত্যিকার অর্থে প্রশান্তি দিতে। তাই বিশ্বাস আপনাকে লক্ষ্যচ্যুত করবে না, বিশ্বাস আপনাকে অস্থির করবে না। বিশ্বাস আপনাকে শান্ত করবে ভেতর থেকে। রসুল সঃ এর একটা হাদিস আছে যাতে তিনি জানিয়েছেন ঈমান গ্রহণ করতে হলে হৃদয়ের স্থিতির গুরুত্ব কতটা। তিনি সঃ একটা হাদিসে বলেছেন যা মুসনাদে ইমাম আহমাদে এসেছে। বলেছেন, কারো বিশ্বাস স্থির হবে না যতক্ষণ না তার হৃদয় স্থির হয়। অর্থাৎ, বিশ্বাস অন্তরে স্থির হতে হলে অন্তরকেও স্থির হতে হবে। তারপর তিনি বললেন, তার অন্তর ততক্ষণ পর্যন্ত শান্ত হবে না, যতক্ষণ না তার জিহ্বা শান্ত হয়। অর্থাৎ রসুল সঃ বলছেন আপনি যদি আপনার অন্তরকে স্থির করতে চান, এবং চান ঈমানকে গ্রহণ করতে, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনার জিহ্বাও যেন স্থির থাকে। ব্যাপারটা অদ্ভুত, কারণ আমরা সাধারণত জিহ্বার ব্যবহারের সাথে অন্তরে বিশ্বাসের মিল খুঁজি না। কিন্তু ইমাম ইবনুল কাইউম...