শোয়াইব (আঃ) এর মেয়ের সাথে মুসা (আঃ) এর বিয়ে থেকে কিছু শিক্ষা

• সৌজন্যতা আর ভদ্রতার সাথে কোন ছেলে অন্য কোন মেয়েদের সাহায্য করতে পারে। (মুসা (আঃ) মাদিয়ানে এসে যখন দুই বোনকে সাহায্য করেন।) • শালীনতা আর সতর্কতার সাথে মেয়েরা প্রয়োজনে বাইরে কাজে যেতে পারে। (দুই বোন তাদের বকরীগুলোকে পানি পান করানোর জন্য বের হতো তাদের বাবা অতি বৃদ্ধ বলে। আর সবার শেষে পানি পান করাতো যাতে পুরুষদের সাথে ঘেঁষাঘেঁষি না হয়) • শুধু ছেলেরা না, মেয়েরাও ছেলেদের পছন্দ করতে পারে। মেয়েরা যখন বাবার সামনে কোন ছেলের প্রশংসা করে, তখন বাবার বুঝা উচিত মেয়ে কী বুঝাতে চাচ্ছে। ( শোয়াইব আঃ এর মেয়ে বাসায় গিয়ে মুসা (আঃ) এর প্রশংসা করে) • মেয়ের বাবাদের উচিত তার সন্তানের পছন্দকে মূল্যায়ন করা আর গুরুত্ব দেয়া। • অর্থ কড়ি না থাকলেও ছেলে চরিত্রবান, দায়িত্ববান হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। (মুসা (আঃ) ঐ সময় মাদিয়ানে এসেছিলেন একটি খুনের পলাতক আসামী হিসেবে, তাঁর (আঃ) অর্থ, জামা কাপড় কিছুই ছিল না।) • বিয়ের প্রস্তাব মেয়ে পক্ষও পাঠাতে পারে। ( শোয়াইব আঃ এর মেয়ে তার বাবাকে বলেন মুসা (আঃ) কে কাজের জন্য বাসায় রেখে দিতে। শোয়াইব (আঃ) বুঝতে পেরেছেন তার মেয়ে কী বুঝাতে চেয়েছে আর শোয়াইব (আঃ) বিয়ের প্রস্তাব দেন মুসা (আঃ) কে) • বিয়ের পর মেয়েদের দায়িত্ব যেহেতু বাবা থেকে বরের কাছে হস্তান্তর হয়, তাই বিয়ের আগে সবচেয়ে বেশি কথা বলবে ছেলে আর মেয়ের বাবা। • কোন শর্ত দিয়েও বিয়ে করানো যায়। (মুসা (আঃ) কে ৮ বছর কাজ করার শর্ত দেয়া হয়েছিল।) আর সবশেষে— • ছেলেরাও শশুর বাড়ি থাকতে পারে 🙂 —Bayyinah.tv এর Story Night – Against all odd সিরিজ...

আমাদের সবার সাথে ক্বারিন আছে …

নোমান আলী খান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ قَرِينُهُ – প্রত্যেক মানুষের সাথে একজন ক্বারিন, একজন করে সহযোগী শয়তান বরাদ্দ করা আছে। তারা সারাক্ষনই তোমাদের কুমন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছে। এর মানে কি আপনারা বুঝতে পারছেন? এটা কিন্তু টম এন্ড জেরি কার্টুনের মতো না যে এক কাঁধে ত্রিশূল হাতে শয়তান দাঁড়িয়ে থাকে আর অন্য কাঁধে ফেরেশতা। এমন না কিন্তু। একটি শয়তান সবসময় থাকে। আপনি যা-ই দেখছেন, যা-ই করছেন, জীবনে যত অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন—তার কাজ হলো, এর প্রতিক্রিয়ায় আপনাকে দিয়ে সম্ভাব্য সর্ব নিকৃষ্ট কাজটি করানো।কেউ এসে আপনাকে সালাম জানালো। সে আপনাকে বলবে, “সে সালাম দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু ভেতরে ভেতরে তোমাকে ঘৃণা করে।”আপনিও বলেন, “হ্যাঁ আসলেই!” “হ্যাঁ, ওয়ালাইকুমুস সালাম। হুহ” (একটু সন্দেহসহ আপনি জবাব দেন)ভালো কিছু দেখলেন, সেটার মধ্যে মন্দ কিছু খুঁজে দেখার ইচ্ছে করবে। আবার খারাপ কিছু দেখলেন। সে বলবে, “এটা অতোটা খারাপ না। এতো খারাপ না। দেখোই না! তুমি তো মাত্র একমাস আগেই উমরাহ করলে। অনেক সোয়াব কামিয়েছো। কোন সমস্যা নেই। আর রামাদান তো এক সপ্তাহ পরেই আসছে! এতো চিন্তা কীসের? আল্লাহ তো তোমাকে ক্ষমা করেই দিচ্ছেন।”আপনি ভাবছেন, “হ্যাঁ! আসলেই তো! আল্লাহ অনেক ক্ষমাশীল!” যেকোনো পরিস্থিতিতে পড়েন না কেন আপনি, একটি চিন্তা মাথায় আসে, “খারাপ কিন্তু অতো খারাপ না। তুমি ভালোই আছো।” আর ভালো জিনিস হলে বলে, “আরে! তুমি আসলেই তা করতে চাও?” কখনও কি এমন হয়েছে যে আপনি বিছানায় শুয়ে আছেন, এখনো ইশা পড়েননি। আর আপনার শরীর যেন চারগুণ ভারী হয়ে গেছে?সে বলে, “শুধু আর পাঁচটা মিনিট শুয়ে থাকো। তারপর উঠে নামায পড়ো। শুধু পাঁচ মিনিট!” আপনিও ভাবলেন, “হ্যাঁ আর মাত্র পাঁচ মিনিট। নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য একটু সময় দরকার।”আর এমন হয় যে কিছু বোঝার আগেই… (ঘুম)এমন হয় কি না?এটাই...