Articles, other scholars |
যখন কেউ বলে – ‘আমি চোখ দিয়ে দেখতে পেলাম – এটা সত্য, কারণ চোখ দেখার যন্ত্র। আবার কেউ যখন বলে – ‘আমি অন্তর দিয়ে দেখতে পেলাম’ – এটাও সত্য, কারণ অন্তর হলো কমান্ডার, অন্তরই আপনাকে কোনো কিছু করতে বা না করতে আদেশ দান করে। অন্তর যদি দেখার আদেশ না দিতো আপনি দেখতে পেতেন না। উভয়টাই সত্য। কুরআন দেখার ব্যাপারটাকে কখনো চোখের সাথে আবার কখনো অন্তরের সাথে সম্বদ্ধযুক্ত করে। যেহেতু চোখ হলো দেখার যন্ত্র আর হৃদয় হলো কমান্ডার তাই আপনি দেখার বিষয়টাকে চোখ বা অন্তর যে কোনো কিছুর সাথে সম্বন্ধযুক্ত করতে পারেন। এখন আসে ‘নফসের বা প্রবৃত্তির’ ব্যাপারটা। আল্লাহ মানুষের অন্তরে কিছু জিনিসের চাহিদা তৈরী করে দিয়েছেন। এই চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষাগুলো মানুষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই আকাঙ্ক্ষাগুলো ছাড়া আপনার জীবন অচল। যেমন – খাওয়ার ইচ্ছা, পান করার ইচ্ছা, নারী-পুরুষের মাঝে সম্পর্কের ইচ্ছা, রাগ ইত্যাদি। এই আকাঙ্ক্ষাগুলো আপনার অন্তরে স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। কেন দেয়া হয়েছে? এইগুলো দেয়ারও উদ্দেশ্য আছে। আপনার অন্তর এবং মন যেন এগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারে। বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে খেতে হবে, পান করতে হবে, নারী-পুরুষের মাঝে সম্পর্ক তৈরী হতে হবে, কখনো কখনো আপনাকে রাগান্বিতও হতে হবে। মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাগুলো দরকার। কিন্তু এগুলো অন্তর এবং বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সমস্যা তখনই তৈরী হয় যখন এইআকাঙ্ক্ষাগুলো এতো শক্তিশালী হয়ে উঠে যে অন্তর এগুলোর সামনে দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন ‘নফস’ আপনাকে আদেশ দিতে শুরু করে। যেমন কুরআনে এসেছে – إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ – ”নফস খারাপ কাজের আদেশ দান করে। ” নফস শক্তিশালী হয়ে উঠলো আর অন্তরকে দুর্বল করে ফেললো তাই আপনি খারাপ কামনা বাসনা চরিতার্থ করার পেছনে লেগে পড়েন। কামনা-বাসনা ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো ছিল যতক্ষণ এগুলো অন্তরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন যেহেতু এই...