আসমাউল হুসনা সিরিজ – ০১

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নাম এবং গুণাবলী সম্পর্কে জানার গুরুত্ব। সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি আল মালিক , আল কুদ্দুস , আর রাহমান , আর রহিম । সেই মহিমান্বিত সত্ত্বার আরও প্রশংসা করছি আমাদের প্রতি তার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বই আল কুরআন নাজিল করার জন্য। আরও প্রশংসা করছি আমাদের প্রতি সকল নবীর শ্রেষ্ঠ নবী প্রেরণ করার জন্য। যিনি প্রেরিত হয়েছেন জগতের জন্য রহমত স্বরূপ। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, প্রতি বছর রামাদানে আলোচনার জন্য আমরা একটা বিষয়বস্তু নির্ধারণ করি। ইনশাআল্লাহ , এই বছর যে বিষয়বস্তুটি ঠিক করা হয়েছে তা এমন একটি মহত এবং গুরুত্ব পূর্ণ টপিক যা জানা এবং মুখস্ত করার জন্য প্রতিটি মুসলমানের সময় ব্যয় করা উচিত। আর সেই বিষয়টি হলো আল্লাহর কিছু সুন্দর নাম ও গুণ নিয়ে আলোচনা। আল্লাহর সুন্দর নাম সমূহের আলোচনা কুরআনের একটি কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়। আমি আপনাদের চ্যালেঞ্জ জানাই কুরআনের এমন তিনটি চারটি বা পাঁচটি আয়াত পড়ুন যেখানে আল্লাহর কোনো নাম বা গুণের উল্লেখ নেই । কারী সাহেব যখন নামাজে কুরআন তিলাওয়াত করেন, আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে শুনেন তাহলে দেখবেন কুরআনের প্রায় প্রতিটি আয়াতেই আল্লাহর কোন না কোন নাম বা গুণের উল্লেখ আছে। আর এ কারণেই প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর নামসমুহ ও গুণাবলীর জ্ঞান অর্জন করা আমাদের দ্বীনের একটি মৌলিক বিষয়। আর প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ কে ? এটা জানার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে কি? ঈমানের প্রথম স্তম্ভ হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। তাহলে আল্লাহ কে? আল্লাহকে জানার একমাত্র উৎস হলো তাঁর নাম এবং গুণাবলীসমূহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে জানার আমাদের আর কোন উৎস নেই। এজন্য আমাদের আলেমরা বলে গেছেন, আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন হলো তৌহিদের অর্ধেক। আর তৌহিদের বাকি অর্ধেক হলো আল্লাহর ইবাদাত করা। তাহলে তৌহিদ বলতে বুঝায় আল্লাহকে জানা এবং তাঁর ইবাদাত করা। তৌহিদ বলতে ঠিক...

তিনি যেমন পৃথিবী দেখতে চেয়েছিলেন – ইসলাম ও বর্ণবাদ

ইসলাম আবির্ভাবের ১০০ বছরের মাঝে মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করলো আফ্রিকা, পারস্য, ভারত এবং স্পেন পর্যন্ত। ইসলামিক সভ্যতার আগমনই ঘটত না, সমৃদ্ধি তো দূরের কথা, বিভিন্ন গোষ্ঠীর এবং সংস্কৃতির অহমিকার কারণে। এটা সম্ভব হয়েছিলো নবী (স) এর শক্তিশালী বাণীর আগমনে, যার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ সম্প্রীতির সাথে বাস করতে পেরেছিলো, ইসলামের ছায়াতলে। ইতিহাসবেত্তা এইচ.আর.গিব লিখেছেন, অন্য কোনো সমাজে এমন সাফল্যের দৃষ্টান্ত নেই যেখানে এত বেশি সংখ্যক সামাজিক অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও অসংখ্য জাতি ও বর্ণের মানুষদের প্রচেষ্টা একীভূত হয়েছিলো। ইসলামের শক্তির সাহায্যে এখনও নিষ্পত্তি ঘটানো সম্ভব বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির আপাতদৃষ্টিতে নিরাময়ের অযোগ্য উপাদানের।তবে এই পরিবর্তন রাতারাতি হয়নি, বরং আজীবন নবী (স) এর সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিলো গোষ্ঠী, বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেনীর মাঝে ভেদাভেদ উচ্ছেদ করা। তিনি শুধু দাস মুক্ত করেননি, তিনি তাদের সম্মান দিয়েছিলেন এবং তাদের পক্ষ হয়ে সমাজের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। আর ২০ বছরেরও কম সময়ে তিনি সফল হয়েছিলেন নারী ও পুরুষকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রদানে যারা সারা জীবন অপদস্থ হয়েছিলো পূর্ববর্তী ক্ষমতাশীলদের দ্বারা। এ ঘটনা ঘটেছিলো ১৪০০ বছর আগে, আরবের মরুভূমিতে। আমরা যে সমাজে বাস করি তার থেকে একেবারেই আলাদা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের চেয়ে উন্নত। আর সত্যিটা স্বীকার করতেই হবে, আমাদের তাদের থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। কারণ আমরা যদিও এই কয়েক বছরে অনেক অগ্রসর হয়েছি, বর্ণবাদ আজকের দিনেও প্রায়ই এর কুৎসিত মাথা তুলে দাঁড়ায়। আমাদের দায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যখন এমন ঘটে আমরা এর বিরুদ্ধে দৃঢ় ভাবে রুখে দাঁড়াবো। আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, যারা অন্যের স্বাধীনতা হরণ করে তারা নিজেরা স্বাধীন হওয়ার যোগ্য নয়। গৃহযুদ্ধ হয়েছিলো এই দেশে কেবল দেড়’শ বছর আগে কারণ দাস-দাসীরা স্বাধীনতার পিছে ছুটেছিলো। আর তখনও তাদেরকেই যুদ্ধের প্রথম সারিতে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিলো। যদিও পলিটিকাল...

পরকালের বন্ধুরা

জানেন, মানুষ যখন খুশিতে থাকে তখন তারা কি চিন্তা করে? তারা বসে বসে ভাবে ইসস.. জীবনটা যদি সব সময় এরকম হত। তারা জানে যে এরকম হবার নয়, জীবনের বাঁকে বাঁকে সমস্যা আছে। কিছু না কিছু সমস্যা হবেই, শারীরিক বা মানসিক, কিছু একটা হবেই। জীবনে আর কোন সমস্যাই আসবে না এটা যদি জানা যেত!! আমার অত্যন্ত অত্যন্ত প্রিয় একটা বর্ণনা জান্নাত সম্পর্কে, এটা সুরা সাফফাত থেকে (আয়াত ৫০-৫৯) এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করলো এবং সে দেখলো সেখানে তার বন্ধুরাও আছে। তারা একজন একজনকে দেখে উচ্ছসিত হয়ে বলল ”আরে তুমিও সফল হয়েছও” তারপর তারা একে অপরকে অভিনন্দিত করলো। তারা একজন আরেকজনকে বলতে থাকবে ও আল্লাহ! তুমি, ও তুমিও। তারা আবার একজন আরেকজনের সাথে পরিচিত হতে থাকবে। আমি তোমাকে ওখানে চিনতাম। এরপর সে চিন্তা করবে আচ্ছা আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু যে তার কি হল? তাকে তো দেখছি না। অর্থাৎ সে তার পুরোনো জীবনের কথা স্মরণ করবে আর ভাববে যে তার এক বন্ধু এখানে নেই। তখন সে বাকীদেরকে জিজ্ঞাসা করবে তোমরা কি জান ওর কি হয়েছে? কিন্তু কেউই এই ব্যাপারে জবাব দিতে চাইবে না। কিন্তু সে আসলেই জানতে চায় যে তার পুরাতন বন্ধুর কি হল। ব্যাপারটা এমন হবে যে আল্লাহ জান্নাতে একটা জানালা খুলে দিবেন যাতে সে জাহান্নামে তার বন্ধুকে দেখতে পায়। এই ধরনের একটা চিত্রই ৩৭ নম্বর সুরাটিতে বর্ণিত হয়েছে। সে দেখবে যে তার সবচেয়ে ভাল বন্ধু জাহান্নামে জ্বলছে। হ্যাঁ, আপনি জান্নাত থেকে এটি দেখতে পারবেন, কারণ জান্নাতে আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন। আর সে তার বন্ধুকে দেখতে চাইলো আর তার ইচ্ছাও পূরণ হল। তাই সে জাহান্নামের একটি ঝলক দেখতে পেল এবং সেখানে তার বন্ধুকে দেখলো। তখন সে বলবে إِن كِدتَّ لَتُرْدِينِ তুমিও আমাকে প্রায় ওখানেই নিয়ে যাচ্ছিলে। সে তার বন্ধুকে দেখলো...

অর্ধাঙ্গিনী নাকি কষ্টাঙ্গিনী?

একটি সুন্দর সমাজের জন্যে আরেকটি মৌলিক, প্রধান উপাদান হচ্ছে-আমাদের পরিবারে শৃঙ্খলা। আমরা দাওয়াহ এর কথা বলতে পারি না, সামঞ্জস্যপূর্ণ ইসলামিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলতে পারি না যতক্ষণ না আমাদের পরিবারে সামঞ্জস্যতা তৈরি করতে পারি! কিন্তু আমাদের পরিবার হচ্ছে চরম বিশৃঙ্খলার জায়গা। কীভাবে আমরা উচ্চতর দাওয়াহ এর আদর্শের এর কথা বলতে পারি? যেখানে আমাদের পরিবারে অশান্তি, স্বামী-স্ত্রী সারাদিন বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে থাকে আমাদের পরিবার এর ভেতর চলে তিক্ত মন্তব্য। একে অপরের প্রতি জঘন্য টিপ্পনি… স্বামীঃ “তুমি দেখতে একদম সুন্দর না।” স্ত্রীঃ “ও! তুমিও তো ইউসুফ (আঃ) এর মতো না! তোমাকে দেখে তো আর আমি হাত কাটছি না !” অপ্রয়োজনীয় রঙ্গ! একে অপরের সাথে অপ্রয়োজনীয়, তিক্ত মন্তব্য চালিয়ে যাওয়া। আর অনেক সময় আপনি জানেন আপনার স্ত্রী কীসে বিরক্ত হয়, আর আপনি ঠিক সেটাই করেন। আবার অনেক সময় স্ত্রীরাও ওই জিনিসটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানেন যেটা ওনার স্বামীর চামড়ার নিচে গিয়ে সুচের মত গিয়ে লাগবে। তারপরেও তারা সেটা বলবেন শুধু এইটুকু দেখার জন্যে যে কী ঘটে! ঠিক? আর এই সব কিছু কে দেখছে? আপনারা যা কিছু করছেন এগুলো কে দেখছে? এই ধরনের কটূক্তির খেলা, আপনার পরিবারে যে যুদ্ধ চলছে এগুলো কে দেখছে? কে সত্যিকার অর্থে শিকার হচ্ছে এইসবের? পরিবারের শিশুরা। শিশুরা এই ধরনের ব্যবহার শিখছে। যখন তারা বড় হবে তখন তারা কেমন ধরনের পিতামাতা হবে? তারা শিখবে বিয়ের মধ্যে ক্ষমা করার কোন ব্যাপারই নেই!!! আপনারা জানেন, মুসলিম পুরুষদের চাকরিক্ষেত্রে তাদের নারী সহকর্মীরা যখন অত্যন্ত অসঙ্গত পোশাক পড়ে হেসে জিজ্ঞেস করেন, “কেমন আছেন? আপনার দিন কেমন কাটছে?” তখন ঠিকই হেসে মাখা মাখা কণ্ঠে গদগদ হয়ে বলেন, “হ্যাঅঅ, ভালই। বেশ ভালই।” আপনি এখান থেকে ৫ মিনিট কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন আর বাড়িতে ফিরে আপনার স্ত্রী যখন আপনাকে জিজ্ঞেস করে, “কেমন কাটল তোমার সারাদিন?” আপনি বলেন, “আমি কথা বলতে...

অসৎ সঙ্গ এড়িয়ে চলুন

তরুণ-তরুণীরা দয়া করে মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা সূরা ফুরকানের ৭২ নং আয়াতে বলেন – وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ ”তারা এমন মানুষ যারা কখনো অর্থহীন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে থাকে না।” ‘যুর’ শব্দটির অর্থ হলো মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা এর আর একটা মানে হলো এমন সঙ্গী যারা অকেজো, যাদের দ্বারা কোনো উপকার আশা করা যায় না, তারা ‘বাতিল’। অন্যভাবে বললে তারা রাতের ২টা পর্যন্ত আড্ডাবাজি করে না। তারা রাত ৩ টা পর্যন্ত অর্থহীন কথাবার্তা বলতে থাকে না। তারা এমনটা করে না। কিন্তু কেন করে না? কারণ তারা তাওবা করেছে। আর যখন কেউ তাওবা করে সে জানে… আপনি যখন কোন বড় পাপ করে ফেলেন, জানেন? সেই বড় পাপ কাজ করতে কিভাবে উদবুদ্ধ হয়েছেন? আপনি শুরু করেন খুব ছোট গুনাহ দিয়ে আর সেটা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তারপর আপনি বড় গুনাহ করে ফেলেন। আর একসময় বুঝতে পারেন আপনার গুনাহ গুলো সঙ্গদোষের কারণেই হয়েছে। যাদের সাথে আপনি সময় কাটান তারা আপনার জন্য এসব পাপ করা খুব সহজ করে দিয়েছিলো। তো আল্লাহ বলেছেন যখন তারা তাওবা করে ফেলেছে তারা নিশ্চিত করে যেন কখনোই কোন অশুভ আড্ডায় বসতে না হয়। তারা কখনো কোন মিথ্যার আসরে সময় কাটায় না। কখনো কখনো আপনি পার্টিতে যাওয়ার দাওয়াত পেয়ে যান, আর যারা দাওয়াত করে তারা হয়ত খুব একটা ধার্মিক নয়। তো সেখানে কান ফাটানো বাজনা বাজে, মেয়েরা মেকআপ করে আসে, ছেলে মেয়ে সবাই একসাথে। আর আপনি এই পার্টির মাঝে আটকা পড়েছেন। আপনি নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে বলবেন না, ‘ওয়াল্লাযীনা লা ইয়াশহাদুনা আয্‌যুরা’ আর বলে হন হন করে বেরিয়ে গেলেন! কিন্তু আপনি অযুহাত দেখাতে পারেন। ‘আমার একটু বের হতে হবে’ বলে বেরিয়ে পড়লেন। আপনি মসজিদে মাগরিব পড়লেন আর ইশা পর্যন্ত সেখানেই রইলেন। ইশা পড়ে পার্টিতে ফেরত এসে দেখলেন সবাই...

নষ্ট করার মত অলস সময় আপনার হাতে নেই

“এই বক্তব্যটি বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য। তোমাদের হাতে নষ্ট করার মত কোন অলস সময় নেই। তোমরা এই উম্মার সদস্য। এই উম্মার সব সদস্য, বিশেষভাবে যারা তরুণ তারা নিরলসভাবে উন্নততর সমাজ গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে। তোমার কোনো অলস সময় নেই। ৮ ঘন্টা ধরে ভিডিও গেইম খেলে নষ্ট করার মত সময় তোমার নেই। তোমার সময় নেই গ্র্যান্ড থেফট অটো কিংবা মডার্ন ওয়ার খেলার। তোমার সময় নেই। এমনকি নতুন যে মুভি আসছে সেটার জন্যও তোমার কিন্তু সময় নেই। সুপারম্যান এর জন্য নষ্ট করার মত সময়ও নেই তোমার। তোমাকে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। তুমি এই প্রজন্মের একজন তরুণ, নিজের জন্য তোমাকে একটা উচ্চতর স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করতে হবে। এ জন্য না যে বড়রা, কিংবা ইসলামিক স্কলাররা অথবা অন্য কেউ বলার কারণে তুমি এটা করবে। তোমার নিজের আত্মউপলব্ধি থেকেই এটা তোমাকে করতে হবে। তোমার যে বিশ্বাস – ”লা ইলাহা ইল্লালাহ’, সেটাই তোমাকে এটা করতে বলা উচিত। এই বিশ্বাস তোমাকে কর্মশীল হওয়ার জন্যও তাগিদ দেয়া উচিত ! এই যে তুমি দেখছ সমাজে তোমার চারপাশে দুর্নীতি, যুব সমাজ আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, তুমি কী মনে করো ? কে তাদের দাওয়াত দেবে? আমি? না ! এইসব ছেলে মেয়ে যারা মসজিদে আসে না, কোনো হালাকায়ও আসে না, তাদের কাছে পৌঁছানোর কোনো পথ আমার নেই। তোমাকে তাদের কাছে যেতে হবে, তারা তোমার বন্ধু। তারা আমার সাথে নয়, তোমার সাথে চলাফেরা করে। তোমাকে তাদের কাছে যেতে হবে, দাওয়াত দিতে হবে, তাদের প্রেরণার উৎস হতে হবে। তোমাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তোমার আশ পাশের বন্ধুদের নিয়ে তুমি চিন্তা কর। সবসময় শুধু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করো না যে ‘আমার বন্ধুরা সারাদিন শুধু মুভিই দেখে’! তুমি কি কখনো তাদের উপদেশ দিয়েছ...