এই রমজানকে গ্রহণ করুন নিজেকে পরিবর্তনের রমজান হিসেবে

পরিশেষে, আমি পুরুষদের কিছু উপদেশ দিতে চাই, যারা দর্শকদের মাঝে বসে আছেন। বাচ্চাদের ব্যাপারে যা বলেছি, আপনাদেরকেও প্রথমে তাই বলবো, আপনার মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় apps গুলো মুছে ফেলুন, সেগুলো ফেলে দিন। ভিডিও গেমস এর apps মুছে ফেলুন, Netflix app মুছে ফেলুন, amazon video player app, যে সকল apps আপনি বিনোদনের জন্য ব্যবহার করে থাকেন, সেগুলো সব মুছে ফেলুন। সেগুলো যেন আপনার ডিভাইসে না থাকে। এই মুহূর্ত থেকে! বলবেন না, যে প্রথম রমযান থেকে শুরু করবো, এর মধ্যে season 5 শেষ করতে পারব। সেটা করবেন না। এটি ফেলে দিন। একেবারে মুছে ফেলুন। আর না। আর না। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল তাদেরকে পছন্দ করেন না, যাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হলেও তারা অবজ্ঞা করে। এবং এরা নিজেদের বলে তারা পরে বদলে যাবে। আল্লাহ এসব লোকদের পছন্দ করেন না। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল মাঝে মধ্যে খুব কঠোর ভাষায় এরকম মানুষদের বর্ণনা দেন। যে সকল লোকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হলেও তারা অবজ্ঞা করে। وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ فَأَعْرَضَ عَنْهَا তার চেয়ে বড় জালিম আর কে? যাকে আল্লাহর আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে উপেক্ষা করে। সে থামে না, নিজের অপকর্ম চালিয়ে যায়। وَنَسِيَ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ এবং তার কৃতকর্মসমূহ ভুলে যায় অন্য কথায়, সে দায়িত্বজ্ঞানশূন্য ছিল, যদিও তাকে স্মরণ করে দেয়া হয়েছিল। তাই, ব্যাপারটি হালকা ভাবে নিবেন না। বিনোদনের মাধ্যমগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। আমাদেরকে এই মাসে আল্লাহর কালাম এবং আল্লাহর রাসূলে উপদেশ গ্রহন করতে হবে, দূষিত ইনপুট বন্ধ করতে হবে আমাদের। তাতে তালা লাগাতে হবে। যদি পুরো জীবনের জন্য সেগুলো বন্ধ করতে না পারেন, অন্ততপক্ষে এই মাসটিকে যথার্থ সম্মান দিন। এটি ছিল পুরুষদের উদ্দেশ্যে প্রথম উপদেশ। দ্বিতীয় উপদেশ হলো, দীর্ঘ রাত-জাগবেন না। আপনি যদি এখানে আসেন তারাবী পড়তে, এবং আপনি এক্সট্রা সালাত আদায়...

সুখী বিয়ের উপকরণ: পুরুষদের আত্মউন্নয়নের তিনটি দিক

এখন পুরুষদের ব্যক্তিগত উন্নয়নকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে– প্রথমতঃ আত্মসংযম করা। মৌখিক, মানসিক বা দৈহিকভাবে অভদ্র আচরণ করবেন না। এটা একটা বড় সমস্যা, যেটা নিয়ে অনেক বোন তাদের স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করেন। আমার স্বামী, তার মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে না তিনি যখন মেজাজ হারান তখন চিত্কার চেঁচামেচি করেন। এবং আমাকে কষ্টদায়ক কথা বলেন এবং কখনও কখনও দুর্ভাগ্যবশত কিছু ভাইয়েরা এতটাই রাগান্বিত হন যে তারা তাদের স্ত্রীর প্রতি দৈহিকভাবে নির্যাতন করেন। আমার এক ক্লায়েন্ট ছিল যারা নবদম্পতি ছিলেন এবং তারা শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, স্ত্রী তার শ্বশুরবাড়ির উপরে অনেক হতাশ ছিলেন এবং তিনি ক্রমাগত স্বামীকে অভিযোগ করতেন। স্বামী তাকে বলতেন, বন্ধ করো বন্ধ করো এসব কথা। আমি শুনতে চাই না। কিন্তু স্ত্রী ক্রমাগতভাবে স্বামীকে অভিযোগ করতেই থাকলেন এবং পরিশেষে স্বামী এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে তিনি তার স্ত্রীকে শেষ পর্যন্ত চড় মেরে বসেন। এরপর স্বামী একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি এরকম করেছিলেন, ”আমি কখনোই ভাবিনি আমি আমার স্ত্রীকে আঘাত করবো”। তিনি সেশনেই কাঁদছিলেন। ”সেটা আমি নই, এটা আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সাথে মেলে না। কিন্তু সে বন্ধ করেনি”। তাই আমাদের আবেগ আমরা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো তা শিখতে হবে। এর কারণ হলো, একবার যদি আপনি কিছু বলে ফেলেন বা খারাপ আচরণ করেন আপনি কখনোই তা ফিরিয়ে নিতে পারবেন না এবং এটা এমন কিছু যা তাদের সম্পর্কটিকে চিরতরে বদলে দিয়েছিলো। যখন সম্পর্কের কোন পর্যায়ে দৈহিক নির্যাতন হয়, যখন আপনি আপনার সাথীকে কোন আক্রমণাত্মক বা কষ্টদায়ক কথা বলেন, আপনার সম্পর্ক আর আগের মত থাকে না। এবং আপনি তা আর ফিরে পাবেন না। আমার একজন ভাইকে মনে পড়ছে তিনি থেরাপির জন্য এসেছিলেন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন আপনি জানেন, সব আমার দোষ ছিল। আমি তাকে বললাম, আপনি কি রসিকতা করছেন? তিনি বলেন, “এটি সত্যি। সব দোষ আমার...

সুখী বিয়ের উপকরণ: নারীদের আত্মউন্নয়নের তিনটি দিক।

আমি গত বিশ বছর ধরে থেরাপি করি। আমি লক্ষ্য করেছি যে সম্পর্ক উন্নত করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বোনদের মধ্যে আছে যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন এবং সমানভাবে নির্দিষ্ট কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভাইদের মধ্যে আছে যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নারীদের আত্ম উন্নতির বিষয়গুলোকে আমি তিনটি ভাগে ভাগ করে সংক্ষেপে তুলে ধরবো। প্রথমটা হলো মানসিক স্থিতিশীলতা। আপনার আবেগকে কন্ট্রোল করবেন, পাজি ড্রামাকুইন না হওয়া, বেশি প্রতিক্রিয়া না দেখানো, কান্নাকাটি না করা, বেশি চিৎকার চেঁচামেচি না করা। এর কারণ হলো ভাইরা তাদের স্ত্রীদের সম্পর্কে এইসব ব্যাপার নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেন। তারা মনে করেন যে তারা একটি ডিমের খোসার উপর রয়েছেন। তারা মনে করেন যে তারা এমন একটি টাইম বোমার সঙ্গে আটকে রয়েছেন তারা জানেন না কি তাকে বিস্ফোরিত করবে। এবং তাই এটা অনেকটা নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে এবং রিলেশনশিপের মাঝে অনাস্থা তৈরি করে। যেখানে স্বামী জানেন না কি তার স্ত্রীকে বিস্ফোরিত করবে। এবং তাই এরকম মানসিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা যেখানে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় জিনিসটা হচ্ছে নিরাপদ থাকা। (নিজেকে নিরাপদ মনে করা)। আমি দেখেছি নারীরা তাদের সকল সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এটা হতে পারে তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে, তাদের শ্বশুরালয়ের আত্মীয় স্বজনের ক্ষেত্রে, অথবা বন্ধু/বান্ধবের সাথে। এবং সেখানে সে একটি ভয়ভীতি বা অন্যদের সম্পর্কে অনিরাপদ বোধ করেন। তিনি অন্যদের কারণে হুমকির সম্মুখীন বোধ করেন বিশেষ করে অন্য নারী দ্বারা। তাই আমরা আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে পারি। আমরা যদি আমাদের নিজেদের সম্পর্কে সত্যিই ভাল বোধ করি তখন আমরা আমাদের সম্পর্কগুলোতে অন্য নারীদের দ্বারা প্রভাবিত হবো না। এবং নিঃসন্দেহে এতে আমাদের বিবাহ আরও ভালো হবে, বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও ভালো হবে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়তার সম্পর্ক আরও ভালো হবে। তৃতীয় জিনিসটা হলো জ্ঞান বাড়ানো। অনেক বোনরাই মাশাআল্লাহ অত্যন্ত শিক্ষিত এবং...

নতুন বছরটা শুরু হউক খারাপ অভ্যাসগুলো বর্জন আর ভাল কিছু অভ্যাস আত্মস্ত করার মধ্য দিয়ে

আমাদের সবারই চরিত্রের বিভিন্ন দিক রয়েছে যার উন্নতি সাধন প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন ঠান্ডা মাথায়, গভীরভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা যে, আমি আসলে চরিত্রের কোন ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করতে চাই ? আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে আপনি কি নিজের প্রতি সৎ থেকে একটা লিস্ট বানাতে পারবেন ? ইস ! এই বিষয়গুলো যদি আমি জীবনে না করতাম। ইস ! এই বিষয়গুলো যদি আমি আমার জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম ! এটা হলো এক নাম্বার কাজ। তখন এই লিস্ট এ থাকবে এমন কিছু বিষয় যা আপনি আপনার জীবন থেকে বাদ দিতে পারতেন। আর কিছু বিষয় থাকবে এমন যা আপনি আপনার জীবনে যুক্ত করতে পারতেন। এখন যে বিষয়গুলো আপনি জীবন থেকে বাদ দিতে পারতেন সেগুলোর ব্যাপারে নিজেকে প্রশ্ন করুন যে কিভাবে আমি এগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি ? উদাহরণ সরূপ কারো কারো হয়ত বিভিন্ন ধরনের আসক্তি থাকতে পারে। যেমন ..ড্রাগ , মদ্যপান বা পর্নোগ্রাফি যাই হোক কোনো এক ধরনের আসক্তি। এই আসক্তিগুলো সাধারণত ঘটে বিশেষ পরিস্থিতিতে। ধরুন, কোনো এক যুবক বাসায় একা, সে স্কুল থেকে কিছুটা আগেই বাসায় আসে, বাবা -মা এখনো কর্মস্হল থেকে ফেরত আসেনি, তার ঘন্টা দেড়েক বাসায় একা একা থাকার সুযোগ হয়। ঠিক তখনি সমস্যায় আক্রান্ত হয়। সুতরাং আপনি নিজেই বুঝতে পারেন যে , হ্যাঁ আমি এই খারাপ কাজটা করি। কিন্তু আমি এটা করি একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে। তাই আমি যদি এই নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মাঝে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে এটা আমাকে সাহায্য করতে পারে। আমি জানি আমি একা একা বাসায় থাকলে আমার সমস্যা হয়। আমি হয়ত এই বিষয়টা আগে চিন্তা করে দেখিনি। মনে হয় আমার আরো বেশি সময় স্কুলে থাকা উচিত। অথবা আমি এই সময়টা ভালো কিছু করে ব্যয় করতে পারি। *****দিনশেষে পাপ কাজগুলো আপনার সময়ের...