Others |
আপনি যদি কোন ভিআইপি কারো সাথে দেখা করতে যান, তখন সর্বাপেক্ষা উত্তম পোশাক পরিধান করেন, কোন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ গেলে উত্তম পোশাক পরেন, কোন অনুষ্ঠানে গেলেও উত্তম পোশাক পরেন। সালাতে কার সাথে দেখা করতে যান আপনি ভাবতে পারেন? আপনার রবের সাথে দেখা করতে যান, তাঁর সাথে কথা বলতে যান, তাঁর সাথে আপনার কথোপকথন হয়। তাহলে সালাতে কেন ভালো ও উত্তম পোশাক পরিধান করেন না? এটা কি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না? আপনিই তো বলেন যে সালাতে মন ধরে রাখতে পারি না, সালাতে ও সালাতের বাইরে খুশু (একাগ্রতা, নিমগ্নতা, ভয়) আসে না। দেখুন আল্লাহ কীভাবে বলেছেন সালাতের ব্যাপারেঃ “হে আদম সন্তান, প্রত্যেক মাসজিদে (সালাত ও সালাতের সময়) সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ গ্রহন করো।” (সূরা আরাফঃ ৩১) খুশুর মাধ্যমে আপনার মধ্যে প্রশান্তি ও একাগ্রতার একটা বীজ এই পোশাকেই নিহিত রয়েছে। কীভাবে? আপনি যখন একটি বিশেষ পোশাক পরিধান করবেন একজন বিশেষ কারো জন্য, তখন নিশ্চয়ই আপনার মন এই পোশাকের সাথে সেই বিশেষ কারো জন্যই নিমগ্ন থাকবে। তাহলে আপনি যখন পৃথিবীর কারো জন্য নয়, একমাত্র আল্লাহর জন্য একটি বিশেষ পোশাক পরিধান করবেন তখন কি অন্যদিকে আপনার মন চলে যেতে পারে? না, পারে না। কারণ এই পোশাক পরিধানের একটাই লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যের দিকেই আপনার মন একাগ্রভাবে নিমগ্ন। এভাবে সালাতের ভেতরে একাগ্রতা ও নিমগ্নতা আনতে পারেন। তাহলে চিন্তা করে দেখুন আল্লাহ কেন সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করতে বলেছেন, তাঁর সাথে প্রশান্তির অনুভূতি জাগানোর জন্য, তাঁর সাথে উত্তম কথোপকথনের মাধ্যমে প্রশান্তি অর্জনের জন্য। আরেকটি বিষয় হল আমরা সালাতের বাইরেও এই খুশু পাই না, আল্লাহর ভয় কাজ করে না; কারণ এই সালাতের ভেতরেই রয়েছে। সালাত যেহেতু যাবতীয় মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, আর যদি না রাখে তবে নিশ্চয়ই আমার সালাতে সমস্যা আছে। তাহলে সমস্যা কোথায়? কেন আমি আমার চক্ষুকে খুশুর...
Others |
আপনি যেই ব্যবসা, চাকরী বা কাজই করুন না কেন, আল্লাহ একটি সয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া আমদের মাঝে চালু রেখেছেন, একটি স্বর্গীয় প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে কোন ব্যক্তি মরুভুমিতে থাকুক, কিংবা নিউইয়র্কে থাকুক, বা কোন বনের মাঝে থাকুক, যেখানেই থাকুক না কেন সে সবসময় আল্লাহর সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকবে। কিসের মাধ্যমে? সালাত বা নামাজের মাধ্যমে। আপনি নামাজ পড়েই এটা ভাবতে পারেন না যে আল্লাহর সাথে আপনার যোগাযোগ স্থাপিত হয়ে গেল। আপনার নামাজের মাঝে একটি বিশেষ গোপন উপাদান থাকতে হবে, যা আপনাকে আল্লাহর সাথে যুক্ত রাখবে। যদি সেই জিনিস অনুপস্থিত থাকে তাহলে আপনার নামাজ হয়ে পড়বে অন্তঃসারশূন্য একটি ব্যাপার। হ্যাঁ, আপনি অন্তত নামাজের জন্য হয়তো দাঁড়াচ্ছেন কিন্তু সেখানে একটা ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। এখন সেই গোপন জিনিসটি কি? আল্লাহ বলছেন قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ ”মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে”, ’الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ ‘ এখানে গোপন জিনিসটি হলো خَاشِعُونَ সত্যিকারের মু’মিনরাই সফল হয়েছে, যাদের সালাতে রয়েছে খুশু। বিনম্রতা, আনুগত্য, অখন্ড মনোযোগ, এই সবকিছুই হচ্ছে খুশু। প্রকৃত অর্থে যেটা আমাদেরকে করতে বলা হয়েছে তা হল, যেই মাত্র আমি বলবো আল্লাহু আকবার, আমরা অন্য আরেকটি জগতে চলে যাব, এই দুনিয়া তখন আপনার কাছে অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে, আপনার সন্তানের কথা মনে থাকবে না, স্ত্রীর কথা মনে থাকবে না, আপনার কাজের কথা মনে থাকবে না, কোন কিছুরি অস্তিত্ব থাকবে না, শুধু মাত্র আপনি এবং আল্লাহ, ব্যাস। যখন আমরা নামাজে দাঁড়াবো তখন আমাদেরকে এই রকম মনোজগতে প্রবেশ করতে হবে। তাই সাধারণভাবে বলা হয় যে নামাজের জন্য একটি নিরিবিলি জায়গায় দাঁড়াতে। আর আমার ব্যক্তিগত উপদেশ হচ্ছে নামাজ শুরু করার আগে সেই জায়গায় আগে চুপচাপ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকুন এবং মনের সব চিন্তাভাবনা আগে সরিয়ে ফেলুন, মাথা থেকে সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন, এবং নিজেকে শুধুমাত্র সালাতের সাথে যুক্ত করুন। এবং যখন নামাজ পড়বেন, জানুন...
Others |
আজ আমরা কী উদযাপন করছি? প্রতি বছর আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল আমাদেরকে এভাবে একত্রিত করেন, দুই ঈদে- একটি হলো ঈদুল ফিতর আর এটি হলো ঈদুল আযহা। আর এই উভয় অনুষ্ঠানেই প্রতি বছর আমাদের একই বিষয় মনে করার কথা এবং একই বিষয়ের উপর চিন্তা-ভাবনা করার কথা। এটা নিশ্চয় এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের গোটা উম্মাহ তথা পৃথিবীর জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশের প্রতি বছর এই ঐতিহ্য – আমাদের পিতা ইব্রাহিম (আ) এর ঐটিহ্য – নিয়ে পর্যালোচনা করা দরকার। আর এটি আসলেই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পৃথিবীর সকল সভ্যতারই কোন না কোন উৎসব রয়েছে। যেমন, বিভিন্ন জাতির স্বাধীনতা দিবস, সাংস্কৃতিক দিবস বা অন্য কোন উৎসবের দিবস। বাস্তবিকপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের অতিরিক্ত বেশী উৎসবের দিন রয়েছে। এক সপ্তাহ পর পরই কোন না কোন ছুটির দিন এসে উপস্থিত হয়, যেমন শ্রমিক দিবস, মেমোরিয়াল দিবস, স্বাধীনতা দিবস বা অন্য কোন ধরণের দিবস। এমনকি প্রাচীন সভ্যতাগুলোতেও আমরা বিভিন্ন উৎসব বা ধর্মানুষ্ঠানের সন্ধান পাই। যেখানে পুরো জাতি একত্রিত হয়ে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করে। সকল সভ্যতাতেই এই ধর্মানুষ্ঠানগুলোতে মানুষ একত্রিত হয়, সুখী সময় কাটায়। সাধারণত এই অনুষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকটিই কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। ইতিহাস জুড়ে এটাই জাতিগুলোর প্রকৃতি। মানুষের উদযাপিত এই উৎসবগুলো বড় কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট যা সেই জাতির আত্মপরিচয়ের অংশ। আর সেই হিসেবে আমাদের দীনের ক্ষেত্রে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল আমাদেরকে বিক্ষিপ্ত কোন দিবস দেয়ার পরিবর্তে এই দুইটি ঈদ দান করেছেন। আর এই দুই দিন মুহাম্মাদ (স) এর গোটা উম্মাহ একসাথে উদযাপন করে। সারা পৃথিবীজুড়ে, সকল ভাষাভাষী মানুষ, সকল সংস্কৃতির মানুষ…আমরা একত্রিত হই এবং একসাথে উদযাপন করি। আর অবশ্যই এই সময়ে আমরা উত্তম পোশাক পরিধান করি, ভালো খাবার খাই, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাই এবং এই ধরণের আরও সুন্দর সুন্দর কাজ করি। কিন্তু ঠিক একই সময়ে আমাদের এটা স্মরণ...
Others |
আল্লাহ আপনার অন্তরে ঈমানকে সুন্দর করেছেন। আল্লাহ ঈমানকে আপনার কাছে প্রিয় করেছেন এবং তিনি একে আপনার হৃদয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছেন। তবে এটা দ্বারা কী বোঝায়? এটা দ্বারা বোঝায়, রাসূল (সাঃ)-এর জন্য আমাদের যে ভালোবাসা রয়েছে, যা আমরা আমাদের হৃদয়ে বহন করি তা সুন্দর। যখন আপনার হৃদয়ে সুন্দর কিছু থাকে, এক সময় এই সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ধারক তাই প্রকাশ করে যা এটা ধারণ করে। সুতরাং যখন কারো অন্তরে রাসূল (সাঃ)-এর জন্য ভালোবাসা থাকে তখন তার বহিঃপ্রকাশ কীভাবে ঘটে? একটা ব্যাপার যা ঘটে তা হচ্ছে, যার অন্তরে রাসূলুল্লাহ মুহাম্মদ (সাঃ) আছেন আমার হৃদয়ও তাদের প্রতি কোমল হয়ে যায়। এটার একমাত্র কারণ হচ্ছে, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে এতো ভালোবাসি যে, যার আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, তার জন্য আমারও ভালোবাসা রয়েছে। এটাই মূলত রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি আমার ভালবাসার প্রমাণ। তাই যখন একজন মুসলিম অন্য একজন মুসলিমকে নিয়ে ঠাট্টা করার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করে না, তখন বুঝতে হবে আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর প্রতি ভালোবাসায় তার কিছু একটা ঘাটতি রয়েছে। সর্বোপরি রাসূলুল্লাহ (সঃ) সকলকে একইভাবে ভালবাসতেন। আপনাদের এ ব্যাপারটি সহজে বোঝাবার জন্য একটি ভিন্ন উদাহরণ দেওয়া যাক। অনেকেই এমন আছেন যাদের পিতামাতা মারা গেছেন এবং যখন বাবা-মা মারা যান, এটা একটা কষ্টকর ব্যাপার। আপনি তার সঙ্গ চান, আপনি আপনার পিতার অভাব বোধ করেন, তাকে স্মরণ করতে চান, আপনি জানেন কী করতে হবে? আপনি তার কিছু বন্ধুকে দেখতে যান। আপনার পিতার স্মরণে তার বন্ধুদের দেখতে যাওয়া, তাদেরকে সম্মান দেখানো…এ কাজগুলোই এখন আপনার নিকট একান্ত প্রিয় কাজ। আমার বাবা এই লোকগুলোকে ভালবাসতেন, তাই আমি তাদের ভালোবাসি। এই লোকগুলোর সঙ্গ আমাকে এমন ব্যক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যাকে আমি ভালোবাসি কিন্তু যাকে আমি এখন আর দেখতে পাই না। আপনার এবং আমার মধ্যেকার পারস্পারিক সম্পর্কটাও ঠিক এমনই।...
Others |
মহানবী (সঃ) …খুবই স্পর্শকাতর ঘটনা। তাঁর নাতি, আলী এবং ফাতিমা (রা) এর সন্তান ছিলেন হুসাইন (রা)। দুই ভাইয়ের মাঝে তিনি ছিলেন ছোটজন, হাসান এবং হুসাইন, আল্লাহ তাঁদের উভয়ের উপর সন্তুষ্ট হোন। ছোট ভাই তোতলাতেন। তাঁর এত বেশি তোতলামি ছিল যে তিনি একটি বাক্যও শেষ করতে পারতেন না। একটি বাক্য শেষ করতে তাঁর অনেক সময় লাগতো। তাঁর উপর একজন ছোট শিশু হিসেবে … একে তো একটা শিশুর বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে এটা খুবই কষ্টদায়ক এবং বেদনাদায়ক ছিল, তার উপর তাঁর বড় ভাই হাসান (রা) ছিলেন অসাধারণ বাগ্মী, সুভাষী এবং আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ গুণের অধিকারী বক্তা। তো, চিন্তা করুন ছোট ভাই কেমন চাপ অনুভব করতেন যিনি এতো বেশি তোতলাতেন! যাইহোক তিনি অনেক বেশি তোতলাতেন। আমরা জানি, বাচ্চারা যখন একটু বড় হতে শুরু করে, ৪ বা ৫ বছর বয়সের সময় তারা যখন কিছুটা সাহস অর্জন করে এবং সে সময় তারা অনেক কথা বলতে পছন্দ করে। একদিন মহানবী (স) কিছু সাহাবীর সাথে বসে ছিলেন, আর তাঁর দুই নাতিও তাঁর সাথে বসে আছেন। তখন ছোটজন যে তোতলাতো সে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিল। কারণ তারা তাঁদের নানাকে ভালোবাসতো। তারা তাঁর সাথে অনেক কথা বলতো। তো, সে কিছু বলার চেষ্টা করছিল… আর রাসূলুল্লাহ (স) সবাইকে এতো বেশি সম্মান করতেন যে কেউ যদি কিছু বলা শুরু করতো তিনি চুপ করে থাকতেন, তিনি সেই ব্যক্তির দিকে শুধু তাঁর চেহারাই ফেরাতেন না, তিনি তাঁর বক্ষ সমেত তার দিকে ফিরতেন, এবং বক্তার কথা বলার সময় বক্তার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। আচ্ছা তারপর, হুসাইন (রা) কথা বলা শুরু করলেন, আর রাসূলুল্লাহ (স) থেমে গেলেন এবং তার দিকে ফিরলেন। ফলে সেখানকার অন্য সবাইও তার কথা শুনতে লাগলেন। কিন্তু শিশুটি এতো বেশি তোতলানো শুরু করলেন যে পরিস্থিতি কিছুটা বেমানান হয়ে উঠলো। তাই কিছু মানুষ...
Others |
আপনি যদি ইব্রাহিম (আ) এর প্রতি বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি কখনোই সব কিছু চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে পারেন না। কারণ তাঁর গোটা জিন্দেগী ধরে তিনি শুধু প্রশ্ন করার কারণেই ঝামেলায় পড়েছেন। তিনি কখনোই প্রশ্ন করা বন্ধ করেন নি। তিনি কি তাঁর পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন? হ্যাঁ। তিনি কি রাজাকে প্রশ্ন করেছিলেন? দেখুন কুরআন কী বলে– “ইব্রাহীম যখন (নমরুদকে) বললেন, আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন, নিশ্চয়ই তিনি সুর্যকে উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে এবার তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (২:৫৮) তিনি রাজাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি তাঁর পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি তাঁর সমাজকে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি এমনসব প্রশ্ন করাতে বার বার বিপদে জড়িয়ে পড়েন। ইব্রাহিম (আ) কোন জবাব গ্রহণ করেননি যতক্ষণ পর্যন্ত না জবাবের স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ করা হয়েছে, যতক্ষণ না কারণ জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না এটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। ইব্রাহিম (আ) ছিলেন একজন বিশুদ্ধ চিন্তাশীল, চিন্তানায়ক। তিনি একনজর দেখেই কোন কিছু গ্রহণ করতেন না। আমি আপনি যদি ইব্রাহিম (আ) এর বংশধর হয়ে থাকি, আমরা কখনোই এর মর্যাদা রক্ষা করতে সমর্থ হবো না যে পর্যন্ত না আমরা চিন্তাশীল হতে পারি। আমাদের এমন চিন্তাশীল হতে হবে যারা প্রশ্ন করে, যারা এক নজর দেখেই কোন কিছু গ্রহণ করে না, যারা শুধু অনুসন্ধানের পর অনুসন্ধান করেই যায়, যারা কখনো এমন বলে না যে আমাদের পিতামাতা করেছেন বলে আমরা এটা করি; তারা মুসলিম হোন বা না হোন। আপনি আমি যা-ই করি না কেন, আমাদের ভাল মন্দের সংজ্ঞা, আমাদের অবশ্যই যা করা উচিত এবং যা উচিত নয়, যা আমরা গ্রহণ করি এবং যা গ্রহণ করি না সবকিছুই বুঝে শুনে হতে হবে। أَدْعُو إِلَى اللَّهِ ۚ عَلَىٰ...