হতাশা মুসলমানদের জন্য নয়

“এই দুনিয়া কখনো জান্নাত হওয়ার কথা ছিল না। সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবী তৈরি করেছেন (দুঃখ কষ্ট দিয়েছেন), যা আপনাকে তাঁর কাছে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। এটা যদি আপনাকে শয়তানের নিকট তাড়িয়ে নিয়ে যায়, তাহলে আপনি প্রতারিত হয়েছেন, প্রিয় বন্ধু। কারণ এই জীবনে আপনি যত কষ্ট অনুভব করছেন – যদি আপনি আল্লাহর উপর বিশ্বাস করেন- বিচার দিবসে এর পুরস্কার...

ইসলামে মতবিরোধের কারণ, ক্ষেত্র আর আমাদের অজ্ঞতা

ইসলামের জরুরি বিষয়সমূহঃ ১. মূলনীতি (আল্লাহর স্মরণ, আল্লাহভীতি, ভ্রাতৃত্ব, সততা, ন্যায়বিচার, পরকালীন সফলতা, চিন্তাশীল হওয়া…ইত্যাদি ইত্যাদি) ২. বাধ্যবাধকতা (ফরজ এবং হারাম কাজসমূহ) ৩. উৎকর্ষতা সাধনমূলক কাজ। (সুন্নাহ সমূহ) ৪. সাহাবী (রা) দের ঐকমত্য ৫. মতবিরোধপূর্ণ...

আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা

আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে কত শত পথ আপনার জন্য খুলে যাবে! আসমানের দরজা আপনার জন্য এমনভাবে খুলে যাবে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। হেদায়েতের পথ খুলে যাবে, আপনি সবকিছু আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আপনার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো দূর হতে শুরু করবে। উদাহরণস্বরূপ, রাগের কথা ধরা যাক। রাগ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া আসলেই অনেক কঠিন। বহু মানুষ খুবই সমস্যাপূর্ণ জীবন যাপন করে, কারণ তারা অল্পতেই রেগে যান। এর থেকে বের হতে পারে না। কিছু একটা তাদের সামান্যতেই ক্রোধান্বিত করে তোলে, আর তারা এর সাথে লড়াই করতে পারে না। তারা তাদের এই সমস্যাটা বুঝতে পারেন, কিন্তু নিজের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন এবং মনে মনে ভাবেন যে, “না, আমার পক্ষে এই রাগ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। আর মনে হয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না, কারণ আমি এরকম রাগান্বিত একজন মানুষ। আমি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। “ হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সাহাবীরা খুবই রাগান্বিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের রাগ দূর করা সম্পর্কে আল্লাহ কী বলেছেন? তিনি বলেছেন – أَنزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ – “তিনি আকাশ থেকে বিশ্বাসীদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন।” প্রশান্তি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে আসে না। আমরা নিজেদের প্রশান্ত করতে পারি না। মূসা (আ) এর মা ভয়ে এবং টেনশনে প্রায় মারা যাচ্ছিলেন, যখন তিনি তার ছোট্ট শিশুকে একটি বাক্সে বন্দি করে পানিতে ভাসিয়ে দেন। আর আল্লাহ বলেন – لَوْلَا أَن رَّبَطْنَا عَلَىٰ قَلْبِهَا – “যদি আমি তাঁর হৃদয়কে দৃঢ় করে না দিতাম,” আল্লাহ তার অন্তরকে দৃঢ় করেছিলেন। মূসা (আ) এর মায়ের পক্ষে স্বীয় অন্তরকে দৃঢ় করা সম্ভব হতো না। তিনি এতো বেশি ভেঙে পড়েছিলেন, এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে তাঁর নিজের পক্ষে নিজেকে শান্ত করা সম্ভব হতো না। ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ বলে একটা ব্যাপার আছে,...