আল্লাহর ‘ফাদল

ব্যাপারটা এমন যে যখন আপনি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে কিছু চান, তখন আসলে আপনি এমন একটি জায়গায় থাকেন যেখানে দাঁড়িয়ে আপনি এমন কিছু চাইতে পারেন যা আপনার কল্পনার অতীত, যা আপনার সাধ্যের অতীত। আপনি যখন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে দুয়া করেন আর তাঁর কাছে চান, উনি আপনার জন্য এমন রিজিক বরাদ্দ করেন যা আপনার কল্পনার বাইরে। যেটা আসলে আপনার নিজের যোগ্যতায় আপনি অর্জন করছেন না আরবিতে সেটাকে বলা হয় ‘ ফাদল’। এটা অতিরিক্ত। এটা আশাতীত। তাই তখন তারা আল্লাহর কাছে এমন কিছু চায় যেটা আসলে আশাতীত, যেটা কোন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ এটা প্রত্যাশা করেনি, কোন অর্থনীতিবিদ এটা প্রত্যাশা করেনি, কোন গবেষকও এটা প্রত্যাশা করেনি। ধরুন, যখন কেউ আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তি চাইবে, ডাক্তার আশা ছেঁড়ে দিয়েছে, কিন্তু সে আল্লাহর কাছে ফাদল চাইতে পারেন, আর হঠাৎ করেই ডাক্তার দেখবে যে রোগীর ক্যান্সার ভাল হয়ে গিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এরকম মানুষকে চিনি যাকে মাত্র তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, ক্যান্সার তার ফুসফুসে পুরো ছঁড়িয়ে গিয়েছিল, সে তার শেষ মুহুর্তের জন্য তৈরি হচ্ছিল। ওই অবস্থায় সেই ব্যক্তি উমরাহ করতে গেল, আর সেখানে গিয়ে সে বলল, হে আল্লাহ যদি আমি আরো সময় বেঁচে থাকি তাহলে আমি শুধুই আপনার দ্বীনের জন্য কাজ করবো। আমি যদি বেঁচে থাকি আমি শুধু ইসলামেরই সেবা করবো, আমি জানি আমার বয়স মাত্র ২৩ বছর আর কিছুদিনের মাঝেই আমার মৃত্যু হবে যদি না আপনি আমাকে আপনার ফাদল দান করেন। এরপর সে যখন ফিরে তার চেকাপ আর শেষ দফার কেমো দিতে গেল, তখন ডাক্তাররা আর কিছু খুঁজে পেল না। ডাক্তার স্ক্যানএ কিছুই পেল না। ‘কোথায় গেল তোমার ক্যান্সার, কি করেছো তুমি’? সে বলল আমি শুধু দুয়া করেছি, আমি শুধু এতটুকুই করেছি। সে আল্লাহর কাছে কি চেয়েছিল? ফাদল। ‘ইয়াবতাগুনা ফাদলাম মিনাল্লাহি’(তারা আল্লাহর কাছ থেকে...

ধার্মিক ব্যক্তি যখন পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে

খুৎবায় আলোচিত আয়াতসমূহ:  “আর আপনি তাদেরকে শুনিয়ে দিন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার পেছনে লেগেছে শয়তান, ফলে সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়েছে। আর আমি ইচ্ছা করলে উক্ত নিদর্শনাবলীর মাধ্যমে তাকে অবশ্যই উচ্চ মর্যাদা দিতাম, কিন্তু সে পৃথিবীর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে এবং নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে। সুতরাং তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে কুকুরের মত। যদি তার উপর বোঝা চাপিয়ে দাও তাহলে সে জিহবা বের করে হাঁপাবে অথবা যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলেও সে জিহবা বের করে হাঁপাবে। এটি হচ্ছে সে কওমের দৃষ্টান্ত যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে। অতএব তুমি কাহিনী বর্ণনা কর, যাতে তারা চিন্তা করে। তাদের উদাহরণ অতি নিকৃষ্ট, যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার আয়াত সমূহকে এবং তারা নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করেছে।” সূরা আ’রাফ, আয়াত ১৭৫ –...