এ ঘটনাটি অনেক দিন আগে বাংলাদেশের একটি ম্যাগাজিনে পড়ে ছিলাম।
জাপানী একজন তুরুণী (বর্তমান নাম হাওলা বিনতে লাকাতা) তিনি ফ্রান্সের পেরিসের একটি বিশ্বব্যিাদালয়ে পড়তেন।তখন তরুণীর বয়স বিশ বা বাইশ বছর। তিনি পোশাক হিসেবে তখন প্রায় সময় হাফ স্কার্ট পরতেন।তিনি রাস্তা-ঘাটে টিজিং এর শিকার হতেন। দেখতেন যুকবরা তার দিকে যৌন কামনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কেউ কেউ অশ্লীল বাক্যও কখনো কখনো ছুডে মারে।
একদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় আপাদমস্তক কালো কাপড়ে ঢাকা এক সাউদি তুরুণীকে দেখতে পেলেন । এই প্রথম তিনি তার জীবনে কাউকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় দেখলেন।তিনি সাউদি তরুণীকে জিজ্ঞাসা করলেন। আপনি এভাবে নিজেকে ঢেকে রেখেছেন কেন? সাউদি তরুণী বললেন, আমি আমার শরীরকে এভাবে ঢেকে রেখেছি যাতে কোন পুরুষ মানুষ আমার শারীরিক সৌন্দর্য দেখতে না পায়। কারণ আমার শরীলের সৌন্দর্য দেখার অধিকার একমাত্র আমার স্বামীর; অন্য কারো নয়।এটা আমার ধর্মের শিক্ষা, আল্লাহর আদেশ।
তখন তিনি সাউদি তরুণীকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার ধর্ম কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলাম। আমার ধর্ম ইসলাম মেয়েদেরকে তাদের শরীর পর পুরুষের নজর থেকে ঢেকে রাখতে বলে, আর পুরুষদেরকে মেয়েদের দিকে দৃষ্টি দিতে নিষেধ করে।
এ ঘটনার পর জাপানী তরুণী তার বাসায় গিয়ে ভাবতে থাকলেন।তিনি ভাবনা চিন্তার পর এ সিদ্ধান্তে উপণিত হলেন যে, এই সাউদি মহিলার পোশাক যুবকদের বলে দিচ্ছে তোমাদের কারো আমার দিকে তাকাবার ও দৃষ্টি দেবার অধিকার নেই। আর আমার এই হাফ স্কাট পুরুষদেরকে বলে দিচ্ছে আমার শরীরিক সৌন্দর্য দেখার অধিকার তাদের প্রত্যেকেরই আছে। আমার পোশাকের কারণেই ছেলেরা আমার দিকে লুলোপ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। সুতরাং পুরুষ যখন আমার দিকে কামনার দৃষ্টিতে তাকায়, তারা যখন আমাকে দেখে টিজিং করে, অশালীন অশ্লীল বাক্য উচ্ছারণ করে, তখন আমি বিব্রত বোধ করি কেন? তাদের এ রূপ আচরণের জন্য তো আমার পোশাকই দায়ী।
এ ঘটনার পর ঐ তরুণী ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া করেন; অবশেষে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি জাপানে ইসলাম প্রচারেও বেশ বড় ভুীমকা রাখেন।একজন মুসলিম মহিলার শরীয়ত সম্মত পোশাক তাকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে উৎসাহিত করেছে। সুবহানাল্লাহ।