আমাদের রাসূল (সঃ) বলেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায় মাতা-পিতার সন্তুষ্টিতে। আর আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে। সুতরাং যে কেউ চায় যে আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হউক, তার উচিত তার মাতা পিতাকে সন্তুষ্ট করা। আর যে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে, তার উচিত স্বীয় মাতা পিতার অসন্তুষ্টিতে উদ্বিগ্ন হওয়া। মুসনাদে ইমাম আহমাদ ও সুনান আবু দাউদে বর্ণিত আছে… এক সাহাবী ইয়েমেন থেকে আসলেন এবং রাসূল (সঃ) কে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ), আমি ইয়েমেন থেকে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আমি আপনাকে আমার বাইয়াত দিতে পারি, যেন আমি একজন সাহাবী হতে পারি, আপনার সহযোগী হয়ে যুদ্ধ করতে পারি। আমি আমার পিতা মাতাকে ছেড়ে এসেছি আর তাঁরা কান্না করছিলেন। আমি পিতা মাতাকে ছেড়ে আপনার নিকট এসেছি।
আমাদের রাসূল (সঃ) বললেনঃ যদি তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি চাও, তাদের কাছে ফেরত যাও। যাও তাদের মুখে হাসি ফোটাও, যেহেতু তুমি তাদের কাঁদিয়েছ। এটাই বলেছেন আমাদের রাসূল (সঃ)। তুমি মনে করেছ তোমার মাতা পিতাকে কাঁদিয়ে আমার কাছে এসে তুমি জান্নাত পাবে? এ অবস্থায় কিভাবে তুমি জান্নাত পেতে পার? তিনি এসেছিলেন একজন সাহাবী হতে। তিনি এসেছিলেন আল্লাহর রাসূলের পেছনে যুদ্ধ করতে। কিন্তু তিনি তার পিতামাতাকে কাঁদিয়ে এসেছিলেন। আর রাসূল (সঃ) বলেন তুমি মনে করেছ এটা করে তুমি জান্নাত পাবে? তাদের নিকট ফেরত যাও। এবং যাও তাদের মুখে হাসি ফোটাও, যেহেতু তুমি তাদের কাঁদিয়েছ। এটাই জান্নাতে যাওয়ার পথ। পিতা মাতাকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে। যাও তাদের মুখে হাসি ফোটাও, যেহেতু তুমি তাদের কাঁদিয়েছ।
আমাদের রাসূল (সঃ) আমাদের বলেছেনঃ জান্নাতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হলো পিতা মাতার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে। আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাঃ এর ছেলে যখন তার পিতা শহীদ হয়ে গেলেন, বলেনঃ আমার পিতা মারা গেছেন বলে আমি কাঁদছি না। আমি এজন্য কাঁদছি যে, আমার জান্নাতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ দরজাটি বন্ধ হয়ে গেল। এ জন্যই আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের সন্তান কাঁদছিলেন যখন তার পিতা শহীদ হয়ে গেলেন। আমার পিতা মারা গেছেন বলে আমি কাঁদছি না। আমি এজন্য কাঁদছি যে, আমার জান্নাতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ দরজাটি বন্ধ হয়ে গেল।