আপনাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, সামনে এগিয়ে যান

– আসসালামু আলাইকুম আব্দুল্লাহ,

– ওয়ালাইকুমুস সালাম।

– কেমন চলছে? আপনি আপনার এক বন্ধু সম্পর্কে কথা বলতে চাচ্ছিলেন?

– হ্যাঁ, আমি একজনের সাথে বল খেলছিলাম, এরপর আমরা ‘ঈদ মুবারক’ জাতীয় যা করে না, সেরকম করলাম। কিন্তু সে মনে করে যে সে এমনকি ঈদও পালন করতে পারবে না, কারণ সে মনে করে সে তার অতীতে এমন কাজ করেছে, এবং তার কারণে সে অনেক দূরে সরে গেছে (ইসলাম থেকে)। এবং তার আশেপাশের সবাইও তাকে এই ব্যাপারটা ভুলতে দিচ্ছিল না, তাই কোন আশা আর নেই। আমি তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম, কিন্তু সেটা কাজ করল না।

– আমারও এরকম অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়েছে। কিন্তু সুবহানাল্লাহ, আমরা অনেক নিষ্ঠুর, দয়াহীন অন্য লোকদের প্রতি। এবং পরিহাসের ব্যাপার হল, আমরা আল্লাহর কাছে নিজেদের জন্য অনেক দয়া চাই, কিন্তু আমরা অন্য লোকদের প্রতি তার বিন্দু মাত্রও প্রদর্শন করি না। মানুষ ভুল করতেই পারে, ঠিক আছে। কোন কোন লোক হারাম কাজ করে, কেউ কেউ অনন্য, অসাধারন, হারামের উপর হারাম, এমন কাজ করে। এবং অন্য লোকেরা যখন এটা সম্পর্কে জানে, তখন তারা বলা শুরু করে, ওহ তুমি তো কখনোই ক্ষমা পাবে না, তোমাকে তো কখনোই আল্লাহ মাফ করবেন না। তুমি! ভুলে যাও, তুমি তো জাহান্নামে জ্বলবে। এই ধরনের কথা বার্তা! এবং আপনি যখন বারবার এই ধরনের কথা শুনা শুরু করবেন, আপনি যখন বারবার অনুশোচনায় দগ্ধ হবেন, তখন আপনিও এটা বিশ্বাস করা শুরু করবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন আপনি এটা বিশ্বাস করা শুরু করবেন যে আপনি আর ক্ষমা পাবেন না, তাহলে আপনার এই জীবনে ভাল কাজ করার আর কোন অনুপ্রেরনাই থাকবে না। যেমন ধরেন, আপনি ভাববেন কেন আমি নামাজ পড়বো? কারণ আমি তো এমনিতেই জাহান্নামে যাব। কেন আমি আমার বাবা-মার দেখাশুনা করবো? কেন আমি সত্য কথা বলবো? কেন আমি আরো হারাম থেকে দূরে থাকবো না? কারণ কোন কিছুরই আর কোন মানে নেই, আমি ইতিমধ্যেই শেষ। তাই আরো খারাপ যোগ হলেই বা আর কি? দেখি আমি আরো কত খারাপ করতে পারি। এই ধরনের কথা বার্তা আর কি। তাই আমি যখন লোকদের সঙ্গে এগুলো নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি, যেটা থেকে বের হওয়া আসলেই সহজ নয়, আপনি কাউকে মনে করিয়ে দিতে পারেন, কারণ আল্লাহ বলছেন ‘মনে করাও যদি সেটা তাদের কোন কাজে আসে (সুরা আ’লা)’। এটার সুফল আছে। কিন্তু এটা এমন একটা জিনিস যেটা বারবার করতে হয়, এই কারণেই, ‘فَذَكِّرْ’ উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি একজনকে একটা ভালো কাজ শুধু একবার করতে বললেন, আর দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল তা নয়। আপনাকে তাদের সাথে থাকতে হবে। যেমন অনেকে বলে, আমি আপনার ওই ভিডিওটা ১০ বার দেখেছি। হুমম, আশা করি তাতে উপকার হয়েছে। এটা এমন জিনিস যেটা আপনাকে বারবার মনে করাতে হয়, আপনি শুধু একবার শুনলেই যথেষ্ট নয়।

একবার আমি একজনকে ‘আশা’ নিয়ে কথা বলছিলাম, আর বললাম, দাঁড়াও তোমাকে মুসা (আঃ) এর কথা বলি। সে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘না না উনারা তো নবী ছিলেন, তারা অসাধারন লোক ছিলেন, আমি তো একদমই পথভ্রষ্ট, আমি অনেক ভুল করেছি, আমাকে এমন কিছু বলুন যা আমি নিজের সাথে মিলাতে পারি’। আমি বললাম, এক সেকেন্ড থামো, আমি তোমাকে মুসা (আঃ) নবী হবার আগে কেমন ছিলেন সেটা বলতে চাই। পরেরটা নয়, হবার আগের ঘটনা, উনি (আঃ) কিছুটা ভুল কাজ করেছিলেন। সে বলে উঠলো ‘কি! নবী! ভুল কাজ!’। আমি বললাম ‘হ্যাঁ, উনি রেগে গিয়েছিলেন, এক ব্যক্তিকে ঘুষি মারলেন, আর সেই লোক মারা গিয়েছিল। এবং এরপর উনাকে মিশরে খুনের দায়ে খোঁজা হচ্ছিল, এবং এমন সমনও জারি করা হয়েছিল যে উনাকে যেন দেখা মাত্রই মেরে ফেলা হয়। তাই উনি ওখান থেকে পালিয়ে গেলেন, আইনের দৃষ্টিতে উনি ছিলেন একজন পলাতক। আমি বলতে চাচ্ছি তুমি হয়তো অনেক খারাপ কিছু করেছো, কিন্তু খুন? এটাতো অনেক বড় একটা অপরাধ। এটা কি প্রাসঙ্গিক? হয়তো আমরা এখান থেকে শিখতে পারি উনি কিভাবে আশা করছিলেন, আর সেটা থেকে আমরা নিজেরাও ভরসা পেতে পারি। এটা জানা জরূরী যে উনি কিন্তু তখনো নবী ছিলেন না, কারণ উনি যদি নবী হতেন তাহলে যখন উনি আল্লাহর সাথে কথা বলেন তখন আল্লাহও ওনার সাথে কথা বলেন, তাই না? কিন্তু উনি যদি নবী না হন সেক্ষেত্রে উনি আল্লাহর সাথে কথা বলেন, কিন্তু আল্লাহ তখনো উনার সাথে কথা বলেন না, ঠিক আমাদেরই মত। আমরা সবসময় আল্লাহর সাথে কথা বলি, আমরা আল্লাহর কাছে দুয়া করি, কিন্তু আল্লাহ প্রত্যুত্তরে আমাদের সাথে কথা বলেন না, আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। কিন্তু আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এমন কোন বার্তা পাই না যেটা আমাদেরকে বলে যে ‘তোমাকে মাফ করা হয়েছে’। তাই আমরা জানি না আমাদের ক্ষমা প্রাপ্তিটা কোন অবস্থায় আছে। এখন এই গল্পের যেই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি অসাধারন সেটা হল, যখন উনি এক ব্যক্তিকে ঘুষি মারলেন এরপর সে মারা গেল, তখুনি উনি বলে উঠলেন ‘এটা শয়তানের কাজ’। উনি আল্লাহর দিকে ফিরলেন আর বললেন, ‘হে রব, আমি নিজের উপর জুলুম করেছি -উনি স্বীকার করলেন যে উনি ভুল করেছেন- আমাকে ক্ষমা করুন’, ‘ফাগফিরলী’ ‘আমাকে ক্ষমা করুন’। আল্লাহ কি তখন উনার সাথে কথা বলেছিলেন? না, কারণ উনি তো তখনো নবী ছিলেন না, কিন্তু কুরআনের আয়াত বলছে, ‘ফাগফারালাহু’, ’অতএব তিনি তাকে ক্ষমা করলেন’। আয়াতটি বলছে, ‘অতএব তিনি তাকে ক্ষমা করলেন’। অর্থাৎ ‘আমাকে ক্ষমা করুন’, ‘অতএব তিনি তাকে ক্ষমা করলেন’। আর আরবিতে ‘ফা’ শব্দটি হল, ‘অতএব’ , ‘সাবাবিয়া’, এটা আবার ‘তৎক্ষণাৎ’, এটাও বুঝায়। তাই পুরোটা বুঝায়, ‘অতএব তিনি তাকে তৎক্ষণাৎ ক্ষমা করলেন’। আপনি পড়বেন আর ভাববেন, এত সহজ! উনি একজনকে মেরে ফেলেছিলেন! কিন্তু এমন না যে উনি বছরের পর বছর ধরে ক্ষমা পাবার জন্য অনুনয় করেছেন, এবং ‘ওহ আল্লাহ আমাকে কি মাফ করেছেন না করেননি ? কি হবে? উনি আল্লাহর কাছে তৎক্ষণাৎ, মন থেকে চাইলেন, ‘আমি অনেক অপরাধ করেছি, আমাকে মাফ করুন’। আর আল্লাহ কতক্ষন নিলেন মাফ করতে? তৎক্ষণাৎ। এবং আপনার যদি এতে সন্দেহ হয়, আয়াতটি আরো বলছে, ‘ইন্নাহু হুয়াল গাফুরুর রাহীম’ ‘কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ হচ্ছেন পরম ক্ষমাশীল’। ‘সবসময় আমাদের প্রতি যত্নশীল এবং দয়ালু’। এমনকি আল্লাহ খুনের অপরাধও মাফ করছেন, যদি আপনি মন থেকে ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর দিকে ফিরেন। এটাই ঘটেছিল মূসা (আ) এর সাথে। আমি কাউকে বলছি না যে খুন করতে হবে, আমি বলতে চাচ্ছি যে হয়তো তোমার ভুল এত বড় না, এত বড় না।

কাউকে খুন করা সম্ভবত মানবতার বিরুদ্ধে সবচাইতে বড় অপরাধ, কেন? কারণ আল্লাহ বলছেন, ‘তুমি যদি একজনকে খুন কর’, ‘ফাকাআন্না কাতালান্নাসা জামীয়া’, ‘সেটা যেন তুমি সমগ্র মানব জাতিকেই খুন করলে’। কেন, কেন, এরকম? আমি বলতে চাচ্ছি এর পিছনের যুক্তিটা চিন্তা করুন, আপনি যদি একজনকে খুন করেন, এটা শুধু একজন ব্যক্তিই তো, দুনিয়াতে আরো কোটি কোটি লোক আছে, তাহলে কীভাবে এটা সমগ্র মানব জাতিকে খুন করার সমতুল্য হয়। ভাবুন কেউ আদম(আঃ) কে খুন করলো। কি হত? মানবজাতিরই কোন অস্তিত্ব থাকতো না। মানবজাতির কোন অস্তিত্বই থাকতো না। এই ব্যক্তির উপর তার পুরো পরবর্তী প্রজন্মের আসা নির্ভর করছে। আর সমগ্র মানবজাতি আদম (আঃ) এর সরাসরি উত্তরসূরি, তাই তাদের মর্যাদাও আদম (আঃ) এর মতই। তাই খুন কোন ছোট ব্যাপার নয়। কিন্তু আল্লাহ এমনকি তেমন অপরাধের জন্যও তাঁর ক্ষমার দরজা খোলা রেখেছেন। ভাবুন। এমন হতে পারে যে একদিন কেউ একজন মুসলিম হয়ে গেল, সে হয়তো পূর্বে খুন করেছিল। হয়তো সে জেলে ছিল খুনের দায়ে, এবং সে ভাবছে আল্লাহ আমাকে কখনো মাফ করবেন না, তখন আমাদের মুসা (আঃ) এর গল্পটা পড়া উচিত। উনি ওই কাজ করার পরও, আর জানেন? মিশরের সবাই তাঁর সম্পর্কে কি ভাবতো? একজন খুনী, পলাতক অপরাধী। আর আল্লাহ উনাকে নবীর মর্যাদা দিয়েছেন, এবং কুরআনের সর্বাধিক উচ্চারিত নবী। ভাবুন ব্যাপারটা। এরকম ভাবা যে আপনি একটা ভুল করেছেন, আর সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে, হ্যাঁ হতে পারে অনেকের চোখে আপনি তাই, কারণ মানুষ অন্যকে মাফ করতে খুব কৃপণ, কিন্তু আল্লাহ নন, আল্লাহ দেন। উনি শুধু অপেক্ষা করছেন কখন আপনি মন থেকে চাইবেন। তাই মানুষ যদি সত্যি সত্যি আল্লাহর কাছে মাফ চায়, উনার দিকে ফিরে যায়, ও আরেকটি ব্যাপার, মুসা(আঃ) শুধু ক্ষমাই চাননি, উনি বলেছেন, এবং এখানেই আসছে সবচেয়ে অসাধারন ব্যাপারটি। আচ্ছা ঠিক আছে আল্লাহ উনাকে সাথে সাথে মাফ করে দিলেন, কিন্তু একটা ব্যাপার আমি বার বার বলছি আল্লাহ কিন্তু তখনো উনার সাথে কথা বলেননি, তাহলে উনি কি জানেন যে আল্লাহ উনাকে মাফ করেছেন কিনা? না। কিন্তু ঠিক পরের আয়াতেই আল্লাহ বলছেন, ‘রাব্বি বিমা আনআমতা আলাইয়া’। ‘হে রব, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, আমি আর কখনোই নিজের উপর জুলুম করবো না’, থামুন, আল্লাহ উনার উপর কি অনুগ্রহ করেছেন? উনি মাত্রই একজনকে খুন করেছেন আর ক্ষমা চেয়েছেন, উনি সাথের লোকটির ফাঁদে পা দিয়েছিলেন, উনি আসল অপরাধীর সঙ্গ দিয়েছিলেন, উনি ভুল লোককে ঘুষি মেরেছিলেন। আর এখন উনি বলছেন ‘হে রব! আপনি আমার প্রতি যেই অনুগ্রহ করেছেন, আমি আর কখনোই নিজের উপর জুলম করবো না’, তাহলে সেই অনুগ্রহটা কি? অনুগ্রহটা হল ক্ষমা। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কেমন করে তিনি জানেন সেই ক্ষমার ব্যাপারে? আল্লাহ উনার সাথে কথা বলেন না, জানেন? এ থেকে আমরা কি শিখলাম? আপনি যদি একজন অনুগত বিশ্বাসী হন, তাহলে আপানার আল্লাহর কাছ থেকে ওহীর প্রয়োজন হবে না, ব্যাপারটি এমন না যে একজন ফেরেশতা আসবে আর বলবে, তোমাকে মাফ করা হয়েছে, আপনি যখন একদম খাঁটি ভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন তখন আপনার মনের মাঝে এই সন্দেহ আসার কোন অবকাশই নেই যে আল্লাহ আপনাকে মাফ করেননি। কারণ ক্ষমা পাওয়াটাই সেক্ষেত্রে একদম নিশ্চিত। এটাতে অনিশ্চিয়তার কোন অবকাশই নেই, একজন বিশ্বাসীর কাছে তো নয়ই। একজন বিশ্বাসীর এটা জানার জন্য নবী হতে হবে না। সে এটা এমনিতেই জানে, সুবহানাল্লাহ, তাই আপনি এটা ভাবতে বসবেন না যে, ‘আমি ভাবছি আল্লাহ কি আমাকে মাফ করেছেন?’ একমাত্র জিনিস যেটা নিয়ে আপনার ভাবতে হবে তাহলো, আমার ক্ষমা চাওয়াটা খাঁটি ছিল কিনা। ওটা কি মন থেকে ছিল কিনা, যদি ওইটা সেরকম হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপানার জবাব পেয়ে গেছেন।

– আব্দুল্লাহঃ কিন্তু তারপরও যে ক্ষতিটা হয়েছে বা যাদের ক্ষতি করেছেন আপনাকে তার ক্ষতিপূরণ করতে হবে?

– হ্যাঁ, আপনি যা করেছেন সেটার প্রতিক্রিয়া আপনাকে সইতেই হবে কিন্তু সেটা অনেক সহজ হয়ে যায় যখন আপনি আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে যান তখন আল্লাহ ওই কাজের বাকি যেসব প্রতিক্রিয়া আসে তা সহজ করে দেন। কারণ এখন আল্লাহ আপনার পাশে আছেন। কিন্তু যখন আপনি আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেন না তখন আল্লাহ আপনার সাথে নেই। কারণ আপনি আল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছেন, আগে উনার কাছে ক্ষমা চান, হ্যাঁ, অন্য লোকের প্রতি আপনি যে ভুল করেছেন , সে পরিণামের মোকাবেলা আপানাকে করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন, উনি আপানাকে এই অন্যায় কাজের প্রতিবিধান করতে সাহায্য করবেন, আপনার সাধ্যের মাঝে। মানুষের মাঝে যারা এরকম অপরাধ করেছে তাদেরও আশা থাকা উচিত, ইনশাআল্লাহ। অন্যের মাঝে আশা জাগানো, তাদেরকে বুঝানো, তাদের উপর কখনো আশা ছাড়বেন না, তাদেরকে আরো হারিয়ে যেতে দেবেন না। সাধারণত যখন মানুষ এই ধরনের হতাশায় ভুগে তারা দেখা যায় আর খেলতে হয়তো আসছে না। অথবা কিছুই করছে না, আপনি আর তাদেরকে আশে পাশে দেখবেন না, আর ভাববেন না জানি কি হল তাদের, এবং এরপর আপনি হয়তো তাদের আরো খারাপ কোন কাজের কথা শুনবেন। তাই তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, এই যেমন ধরুন মেসেজ আদান প্রদান করুন, তাদের খোঁজখবর নিন মাঝে মাঝে, আপনার তাদেরকে এরকম লেকচার দিতে হবে না, আপনি শুধু তাদেরকে কিছু ভাল কথা বলুন, অনুপ্রেরণা যোগান, এবং ইনশা আল্লাহ এটা তাদেরকে সাহায্য করবে, ধন্যবাদ।